Skip to main content

Bible Truths - Bengali

বাইবেলের তত্ত্ব  
ঈশ্বর
বাইবেল আমাদের শেখায় যে, ঈশ্বর হলেন এই বিশ্বব্রম্ভান্ডের সৃষ্টিকর্তা (আদি ১:১)। সৃষ্টিকর্তা হিসাবে, তিনি সৃষ্টির অনুরূপ নন – আন্যভাবে বলা যায়, তাঁকে কেউ সৃষ্টি করেনি; তিনি স্বয়ম্ভু, তিনি শাশ্বত, অনাদি এবং অনন্ত। তিনিই সনাতন ঈশ্বর (যাত্রা ১৫:১৮; দ্বি.বি ৩৩:২৭)। বাইবেল আমাদের আরও শেখায় যে, ঈশ্বর হলেন আত্মা (যোহন ৪:২৪)।  ঈশ্বরকে আত্মারূপে কেউ কখনো দেখেওনি আর পরে দেখতেও পাবেনা, কারণ তিনি অদৃশ্য (কলসিয় ১:১৫; ১ তিমথি ১:১৭)। ঈশ্বর সর্ব-উপস্থিত (গীত ১৩৯:৭-১০), ক্ষমতায় অপরিমিত (মথি ১৯:২৬) এবং সর্ব-জ্ঞানী ও সর্ব-নির্ণায়ক (লুক ১২:২)।

ঈশ্বর এক, যার প্রাথমিক অর্থ হল, তিনি অবিভাজ্য এবং দ্বিতীয়ত, তিনি ছাড়া আর কেউ নেই যাঁকে ঈশ্বর বলা যায়। ঈশ্বর মাত্র একজনই (দ্বি.বি ৪:৩৫)। ঈশ্বরই জীবন দান করেন (ইয়োব ৩৩:৪)। এই পৃথিবী তাঁর ও তিনিই পৃথিবীর শাসনকর্তা এবং বিচারক (গীত ১০:১৬)। শেষ দিনে মানুষের করা প্রত্যেকটি চিন্তা, উক্তি ও কাজের তিনি বিচার করবেন, একে বিচারের দিনও বলা যায় (২ পিতর ৩:৭)।

বাইবেল পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে আজ্ঞা দেয় যেন তারা শস্রদ্ধ ভয়ে ঈশ্বরের কাছে সমর্পিত হয়, পাপের জন্য অনুতপ্ত হয় ও বিশ্বাসে অনুগত হয় (উপদেশক ১২:১৩; প্রেরিত ১৭:৩০)।  

বাইবেল আমাদের শেখায় যে, ঈশ্বর হলেন আমাদের পিতা (মথি ৬:৯; প্রেরিত ১৭:২৯), তিনি অনন্তকালীন প্রেমে, আমাদের প্রেম করেন (যিরমিয় ৩১:৩),  আর তাই চান না, আমরা আমাদের পাপে, বিনষ্ট হই (খারাপ চিন্তা আর মন্দ কর্ম, যার জন্য আমরা প্রত্যেকে পাপী)।  তাই ঈশ্বর নিজেই আমাদের পরিত্রানের পথ সৃষ্টি করলেন, তিনি মাংসে মূর্তিমান হলেন, নিজে আমাদের হয়ে শাস্তি ও কষ্ট ভোগ করলেন এবং ক্রুশে তার অনন্ত বলিদানের মাধ্যমে আমাদের পাপের জরিমানা দিলেন। সেইজন্য ঈশ্বরই একমাত্র ত্রাণকর্তা (যিহুদা ১:২৫)। যেকেউ তার হৃদয়ে, এই সত্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, তিনি তৎক্ষণাৎ তা শোনেন, কারন ঈশ্বর সর্ব-উপস্থিত এবং তিনি আমাদের নিঃশ্বাসের চেয়েও কাছে আছেন (গীত ৩৪:১৭; ১৩০:১)। যে কেউ বলে, “ আমি আমার পাপের জন্য দুঃখিত, অনুগ্রহ করে আমায় ক্ষমা করুন প্রভু” ঈশ্বর তাঁকে ক্ষমা করেন, আর তার পাপ সকল, পূর্ব থেকে পশ্চিম যতদূর, ততোদূরে সরিয়ে দেন ( অন্য ভাবে বলা যায়, সম্পূর্ণ মুছে দিয়েছেন, গীত ১০৩:১২)। এই ক্ষমা ও জীবনকে আবার নতুন করে শুরু করার সুযোগ আমাদের দেওয়া হয়েছে যীশু খ্রিষ্টের আত্ম বলিদানের জন্য (যিনি ঈশ্বরেরই প্রতিরূপ এবং বাক্য যিনি মাংসে মূর্তিমান হন মানুষরূপে ২০০০ বছর আগে) যার দ্বারা তিনি পাপ ও মৃত্যুর পুরানো পৃথিবীর অবসান ঘটান, তৃতীয় দিনে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়ে আমাদের জন্য জীবনের নবীনতা নিয়ে আসেন।

যীশু খ্রীষ্ট
বাইবেল আমাদের শেখায়, যীশু খ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বরের পুত্র (যোহন ৩:১৬) যার মধ্যে ও যার দ্বারা ঈশ্বর আমাদের কাছে প্রকাশিত হয়েছেন (ইব্রীয় ১:১,২)। তিনিই ঈশ্বরের বাক্য (যোহন ১:১), অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি (কলসীয় ১:১৫)তিনি সৃষ্ট নন বা জাতও নন, “পুত্র” শব্দের আক্ষরিক অর্থে তার মুল্যায়ন চলেনা; তিনি সনাতন। তিনি ঈশ্বর (যোহন ১:১)। তিনিই মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থতাকারী (১ তিমথি ২:৫)। ঈশ্বর সম্পর্কে প্রকৃতপক্ষে আমরা যা কিছু জানতে পারি তা, যীশু খ্রিষ্টের দ্বারা ও তার মধ্যে জানতে পাই, কারণ তাঁর মধ্যেই ঈশ্বরত্বের সমস্ত পূর্ণতা দৈহিকরূপে বাস করে (কলসীয় ২:৯)। তিনি ঈশ্বরের ব্যেক্তিসত্তার স্পষ্ট প্রতিরূপ, সৃষ্টিকর্তা ও বিশ্বচরাচরের ধারক (কলসীয় ১:৬; ইব্রীয় ১:৩)। তিনি অন্য কোন দেবতা নন, কিন্তু স্বয়ং ঈশ্বর, ঈশ্বরের সাথে এক (যোহন ১৭:২২) যিনি ত্রিত্ব। ঈশ্বর পিতা, ঈশ্বর পুত্র, ঈশ্বর পবিত্র আত্মা। কিন্তু ঈশ্বর তিনজন নন। তিনি এক, তারা তিনে এক। এটা কিভাবে সম্ভব? এটা এরাকম, কারণ, ঈশ্বর সত্য, ঈশ্বর আনন্দ, ঈশ্বর প্রেম। সত্যের স্বরূপে সমষ্টিগতভাবে  ঈশ্বর হলেন সর্বজ্ঞ, জ্ঞাতা ও সর্বজ্ঞানী আত্মা | প্রেমে, তিনি প্রেমিক, প্রিয়তম এবং প্রেমের আত্মা | আনন্দে তিনি আনন্দপূর্ণ ব্যাক্তি, আনন্দের বিষয় ও অনন্দের আত্মা |অব্রাহামের আগে যীশু ছিলেন (যোহন৮:৫৮)| এই বিশ্ব ব্রম্ভান্ড সৃষ্টের আগেও যীশু ছিলেন (যোহন১:১-২), যীশুই সনাতন|

সকল বস্তু যীশুর দ্বারা ও যীশুর জন্য সৃষ্ট হয়েছে (কলসীয় ১:১৬)| তিনিই ঈশ্বরের উত্তরাধিকারী, সমগ্র সৃষ্টির প্রথমজাত (কলসীয় ১:১৫)| তিনিই সৃষ্টির মুক্তিদাতা, জগতের পরিত্রাত, যে কারনে তিনি মানব রূপ নিলেন (যোহন ১:১৪), আমাদের পাপের শাস্তি ভোগ করলেন ও ঈশ্বরের ধার্মিকতা পূর্ণ করলেন (ইব্রীয় ২:৯-১৮)| তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হলেন ও নুতন সৃষ্টির রচয়িতা হলেন, যাতে যারা যারা তাকে বিশ্বাসের বাধ্যতায় গ্রহন করেকরে তারা ঈশ্বরের রাজ্যের উত্তরাধিকারী হয়| তিনি শেষ দিনে আবার আসবেন মৃত ও জীবিতের বিচার করতে (২তিম. ৪:১)|

পবিত্র আত্মা
বাইবেলে পবিত্র আত্মাকে নানান নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে যেমন, ঈশ্বরের আত্মা (আদি.১:২), সত্যের আত্মা (যোহন ১৪:১৭), পবিত্র আত্মা (লূক ১১:১৩), পবিত্রতার আত্মা (রোমীয় ১:৪), এবং সহায় (যোহন ১৪:২৬)| পবিত্র আত্মা সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও জীবন দাতা (ইয়োব ৩৩:৪; গীত ১০৪:৩০)| তিনিই ঈশ্বরের বাক্য লিপিবদ্ধ করতে অনুপ্রাণিত করেন (২ পিতর ১:২১)| তার দ্বারাই ঈশ্বরের অলৌকিক দান সকল, ঈশ্বরের লোকেদের মধ্যে দিয়ে সমগ্র জগতে প্রতিভাত হয় (১শমূয়েল ১০:১০; প্রেরিত ১০:৩৮; ১ করি. ১২)| আধ্যাত্মিক বিষয়ের বোধশক্তি পবিত্র আত্মার কাছ থেকেই আসে (ইয়োব ৩২:৮; যিশাইয় ১১:২)| তিনিই ঈশ্বরের দাসদের অভিষিক্ত করেন এবং তাঁর দ্বারাই তারা ঈশ্বরের সেবাকার্যের জন্য পবিত্রীকৃত ও পৃথকীকৃত হন (প্রেরিত ১০:৩৮; ১যোহন ২:২৭)| তিনি যীশু খ্রীষ্টের প্রধান সাক্ষী এবং তিনি জগতের পাপ, ধার্মিকতা ও বিচার বিষয়ক দন্ডাজ্ঞা দেন (যোহন ১৫:২৬; ১৬:৮)| শিষ্যদের মধ্যে তার অবস্থিতির পূর্ণতার দ্বারা তারা শক্তিপ্রাপ্ত হন যাতে জগতের প্রান্ত পর্যন্ত খ্রীষ্টের সাক্ষী হন (প্রেরিত ১:৮)|

সৃষ্টি
বাইবেল আমাদের শেখায় যে, ঈশ্বর ছয় দিনে এই বিশ্ব ব্রম্ভান্ড ও তার মধ্যস্থ সমস্ত বস্তুর সৃষ্টি করেন (আদি ১:২; যাত্রা ২০:১১)| এখন যে সকল দৃষ্ট বস্তু আমরা পাই তার সবই অদৃষ্ট বস্তু থেকে সৃষ্ট (ইব্রীয় ১১:৩); অন্য ভাবে বলা যায়, শুন্য থেকে সৃষ্ট| ঈশ্বর প্রয়োজনীয়তা বোধে জগত সৃষ্টি করেননি কিন্তু তাঁর নিজের স্বাধীন ও সার্বভৌম ইচ্ছা শক্তি ও আনন্দ প্রযুক্ত সৃষ্টি করেছেন (প্রকাশিত বাক্য ৪:১১)| আলো ও আন্ধকার উভয়ই ঈশ্বরের সৃষ্টি (যিশায় ৪৫:৭; আদি ১:৩) উভয়ই ভৌত, পূর্ববর্তী ও পরবর্তী অনুপস্থিতির প্রকাশ| ঈশ্বর সময় ও সময়ের ভাগ সৃষ্টি করেছেন (গীত ৯০:২ তুমি পৃথিবী ও জগতকে জ্ন্ম দেবার পূর্বে {হিব্রু: খুল – ঘূর্ণন, আবর্তন} এমন কি অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল তুমিই ঈশ্বর)| ঈশ্বর যীশু খ্রিষ্টের জন্য এই বিশ্ব ব্রম্ভ্যান্ড সৃষ্টি করেছিলেন, তিনিই সমস্ত কিছুর উত্তরাধিকারী (কল.১:১৬-১৮; ইফি. ১:১০)|

স্বর্গদূত
স্ব্র্গদুতেরা ঈশ্বরের সৃষ্ট অমর ও স্বর্গীয় সত্তা (প্রকাশিত বাক্য১৯:১০; ২২:৮-৯; কল.২:১৮; লুক ২০:৩৪-৩৬)| তাদেরকে পরিচর্যাকারী আত্মাও বলা হয় (ইব্রীয় ১:১৮)| তারা নির্লিঙ্গ ও অগুন্তি (লুক ২০:৩৪-৩৫; দানিয়েল ৭:১০; ইব্রীয় ১২:২২)|  বিভিন্ন ধরনের স্বর্গদূতের উল্লেখ আমরা পাই| করূব ঈশ্বরের বাগান ও তাঁর উপস্থিতিতে নিযুক্ত রয়েছে (অদি৩:২৪; যাত্রা২৫:২২; যিহি.২৮:১৩,১৪)| যিশায়৬:২,৩ পদে আমরা সরাফ (বা “জাজ্ব্ল্যমানেরা”) গনকে ঈশ্বরের আরাধনা করতে দেখি| দুজন শ্রেষ্ঠ শ্রেনীর স্বর্গদূত আছেন, মিখাইল, যিনি যোদ্ধা স্বর্গদূতদের সেনাপতি (যিহুদা১:১০; প্রকাশিত বাক্য ১২:৭) এবং গাব্রিয়েল, ঈশ্বরের সংবাদ বাহক (লুক ১:১৯; দানিয়েল ৮:১৬; ৯:২১)| এরা সেই স্বর্গ্দুতেরা যারা, যখন শয়তান (যে ছিল অভিষিক্ত কুরূব) ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, তখন শয়তানের সঙ্গ দেয়নি কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত ছিল|

স্বর্গ্দুতেরা প্রজ্ঞার অধিকারী (২ শমূয়েল ১৪:১৭; ১ পিতর ১:১২), ঈশ্বরের আজ্ঞা পালনকারী (গীত ১০৩:২০), ঈশ্বরের সম্মুখে তাঁর সশ্রদ্ধ আরাধনাকারী (নহিমিয় ৯:৬; ইব্রীয় ১:৬), তারা নম্র (২ পিতর ২:১১), পরাক্রমশালী (গীত ১০৩:২০) এবং পবিত্র (প্রকাশিত বাক্য ১৪:১০)| ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে তারা ঈশ্বরের দাস ও সেবক (ইব্রীয় ১:১৪: গীত ১০৩:২০)|

মন্দদূত
মন্দ দূতেরা হলো তারা, যারা লুসিফারের সাথে যুক্ত হয়ে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল| লুসিফেরকে, শয়তান (প্রতিদ্বন্দী) ও বলা হয়, আদি সর্প, প্রলুব্ধকারী, দুষ্ট ব্যাক্তি, জগতের শাসক, এই যুগের ভগবান, খুনি, মিত্থুকদের পিতা প্রভৃতি নাম অবিহিত করা হয়েছে (যিশাইয় ১৪:১২-১৫; যিহিষ্কেল ২৮:১২-১৯; যোহন ১২;৩১; ২করি. ৪:৪; মথি ৪:৩; ১যোহন ৫:১৯; যোহন ৮:৪৪)| তাই এই মন্দ দূতদের এই বলেও অভিহিত করা হয় – “যে স্বর্গ দূতেরা নিজেদের আধিপত্য রক্ষা না করে নিজ বাসস্থান ত্যাগ করেছিল,” যিহুদা ৬); এরাই পতিত স্বর্গ দূত|  তারা ঈশ্বরের কার্যের বিরোধিতা করে (১থিস. ২:১৮), তারা রাষ্ট্রকে ভ্রান্ত করে (প্রকাশিত বাক্য২০:৭-৮), তারা দাম্ভিক (১ তিম. ৩:৬), তারা প্রভাবিত করে মানুষকে বোধ দেয় যাতে সে ভাবে ঈশ্বর নেই(ইফি. ২:২), নিষ্ঠুর (১ পিতর ৫:৮), ক্রূর (ইয়োব ২:৪) এবং নানা প্রকার রোগ ও ব্যাধি দ্বারা মানবজাতিকে পীড়া দেয় (প্রেরিত ১০:৩৮; মার্ক ৯:২৫)| তারা অবিশ্বাসীদের মনের উপর অধিকার বিস্তার করে (মথি ৮:১৬), তারা একজন মানুষের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে (লূক ২২:৩), একজন মানুষের চিন্তা ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে (প্রেরিত ৫:৩), এমনকি তারা জীব জন্তুর শরীরেও অবস্থিতি করতে পারে (লূক ৮:৩৩)|

একজন বিশ্বাসীর দেহে কখনো মন্দ দূত অবস্থিতি করতে পারেনা কারন তার দেহ হলো পবিত্র আত্মার মন্দির, মন্দ দুতেদের জন্য সেখানে কোনো স্থান নেই (১করি. ৬:১৯; ১০:২১)|

মন্দ দূতেরা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে ও তার সম্মুখে ভিত সন্ত্রস্ত হয়ে পরে (যাকোব ২:১৯)| শয়তান ও তার মন্দ দূতেরা ঈশ্বরের বিচারের জন্ন অপেক্ষা করছে (মথি ৮:২৯; প্রকাশিত বাক্য ২০:১০)| যীশু খ্রিস্টের বিশ্বাসীদের ঈশ্বরের প্রতি সমর্পিত হয়ে মন্দ আত্মাদের প্রতিরোধ করতে আদেশ দেওয়া আছে (যাকোব ৪:৭) | একজন বিশ্বাসীর এটাও একটি গুন যে তারা ভুত ছাড়াবে (মার্ক ১৬:১৭) |

মন্দ আত্মা ছাড়ানো  
একজন বিশ্বাসীর, মন্দ আত্মা তাড়ানোর খ্রীষ্ট দত্ত অধিকার রয়েছে (মথি ১০:১,৮; মার্ক ১৬:১৭)| এই ক্ষমতার উত্স একমাত্র খ্রিস্ট| ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা খ্রিস্ট মন্দ আত্মা ছাড়িয়েছেন (মথি ১২:২৮); তাই, একজন বিশ্বাসীর ও আত্মার বশে চলা উচিত (গালাতীয় ৫:২৫)| প্রার্থনা উপবাস এবং ঈশ্বরের কাছে সম্পুর্ন সমর্পন খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয় (মার্ক ৯:২৯; যাকোব ৪:৭)| একজন বিশ্বাসীর পবিত্র আত্মার দান, বিচক্ষনতার আত্মা লাভের নিমিত্ত প্রার্থনা করা উচিত (১করি. ১২:১০)| সাধারন নিয়মে বিশ্বাসীদের মন্দ আত্মাদের সাথে কথোপকথন করা উচিত নয় (মার্ক ১:২৪)| তারা প্রতারক| বিশ্বাসীরা যীশুর নাম তাদের তাড়াবে (প্রেরিত ১৬:১৮)| মন্দ আত্মা ছাড়ানোর সময় কখনো তোমার চোখ বন্ধ করবেনা, তুমি আদেশ দিচ্ছ, প্রার্থনা করছনা, মন্দ আত্মারা অনেক সময় দেখা যায় শারীরিক ভাবে হিংস্র হয়ে ওঠে (মথি ১৭:১৫; প্রেরিত ১৯:১৫,১৬)| বিশ্বাসীদের কখনই মন্দ আত্মাদের প্রশ্রয় দেওয়া উচিত্ নয় যাতে তার ঈশ্বরের প্রতি, তার বাক্যের প্রতি ও যীশু খ্রিস্টের পবিত্র আত্মার প্রতি বিশ্বাসকে তারা দুর্বল করে দেয়| মন্দ আত্মার একটি অস্ত্র হলো সন্দেহ (আদি ৩:১; মথি ৪:৩-১০)| প্রত্যেক মন্দ আত্মা ছাড়ানোর কাজ ঈশ্বরের দাসেদে ক্রমানুযায়ী ও নিযমানুবর্তিতার সাথে করা উচিত, একজনের আধিকারিক হিসাবে মূল কাজ করা উচিত এবং সেই সময় বাকিদের  তাকে প্রার্থনার দ্বারা সাহায্য করা বাঞ্চনীয় (১করি. ১৪:৩৩)| মন্দ আত্মা আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীরে যদি কোনো মাদুলি, ধাগা, ধারণের আংটি, তাবিজ, কবচ থাকে সেগুলিকে আগে খুলে ফেলে দেওয়া উচিত কারন এগুলোর সাহায্যে মন্দ আত্মাকে শরীরে আঁকড়ে রাখতে সাহায্য করে (প্রেরিত ১৯:১৯)| মন্দ আত্মার কবল থেকে মুক্ত ব্যক্তিকে পাপ স্বীকার, অনুতাপ ও বিশ্বাসের মাধমে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ করা উচিত যাতে মন্দ আত্মার পুনরাগমনকে বন্ধ করা যায় (মথি ১২:৪৪,৪৫)| তার পবিত্রতায় ও ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে জীবন যাপন করা উচিত (১যোহন ৫:১৮)|


মানুষ
ঈশ্বর নিজের প্রতিমূর্তিতে তাঁর মত করে ষষ্ঠ দিনে পুরুষ ও স্ত্রী হিসাবে মানুষ সৃষ্টি করলেন (আদি. ১:২৬-২৮)| যাতে তারা ঈশ্বরের গৌরব ও মহিমা প্রকাশ করে  এবং সমস্ত সৃষ্টির ওপর কর্তৃত্ব করে (গীত. ৮:৫; আদি. ১:২৮)| ঈশ্বর মানুষকে শারীরিক, মানসিক  এবং আত্মিক হিসাবে তৈরী করলেন; যার জন্য মানুষের শরীর, প্রাণ ও আত্মা আছে (আদি.২:৭; ইয়োব ৩২:৮; উপ. ১১:৫; ১২:৭; ১থিস. ৫:২৩)| প্রথম মানুষ আদমের দ্বারা পাপ এবং সেই পাপের দ্বারা মৃত্যু জগতে এল (রোমীয় ৫:১২)| বাইবেল শেখায় যে আদমের পাপের ফলে সব মানুষের কাছে মৃত্যু এল (রোমীয় ৫:১২)| মৃত্যুর স্বরূপ তিন প্রকার : আত্মিক মৃত্যু (ঈশ্বরের থেকে বিচ্ছেদ এবং তাঁর শত্রু হওয়া), শারীরিক মৃত্যু (শরীর থেকে আত্মার বিচ্ছেদ) এবং দ্বিতীয় মৃত্যু (নরক ভোগ) (ইফি. ২:১; কল. ১:২১; রোম. ৫:১০; প্রকা. ২১:৮)| পাপের দন্ডাজ্ঞা দ্বারা মানুষ মরণশীল হয়েছে|
বাইবেল শেখায় যে “রক্ত ও মাংস” বা অনুতাপহীন মানুষ “ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না” কেননা ক্ষয় অক্ষয়তার অধিকারী হতে পারে না (১করি. ১৫:৫০)| অথএব, বিশ্বাসে আত্মা দ্বারা পুনর্জন্মই হলো পরিত্রানের একমাত্র পথ (যোহন ৩:৫,৬)| যখন কেউ যীশু খ্রীষ্টের প্রভুত্ব গ্রহণ করে, পুরানো সত্ত্বার দন্ডাজ্ঞা পরিবর্তিত হয় এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে যে ঈশ্বরের রাজ্য আসছে তার অধিকারী হয়| দিয়াবলই হলো জগতের অন্য সব দেবতা (২করি. ৪:৪; ইফি. ২:২; ১যোহন ৫:১৯)|

পরিত্রান
সুসমাচার বা শুভ সংবাদ ঘোষণা করে যে, সকল মানুষ যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের দ্বারা পাপ থেকে উদ্ধার পেতে পারে| ঈশ্বর তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টকে জগতে পাঠিয়েছেন ঈশ্বরের বলিকৃত মেষ হিসাবে যে জগতের পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করে (যোহন ১:২৯)| যীশু খ্রীষ্টের দেহ ছিল পবিত্র আত্মার দ্বারা অভিষিক্ত এবং পৃথকীকৃত বলি স্বরূপ দেহ (লূক ১:৩৫; ইব্রীয় ১০:৫)| পবিত্র আত্মা যীশু খ্রীষ্টের কষ্ট প্রকাশ করেছেন, যা তিনি আমাদের পাপের কারণে ভোগ করেছেন, অতীতে ভাববাদীরা যেমন বলেছিলেন (১পিতর ১:১০,১১)| খ্রীষ্ট মানুষ এবং ঈশ্বরের মাঝে মধ্যস্থকারী হলেন তাঁর মাংসে মূর্তিমান এবং প্রায়শ্চিত্তমূলক মৃত্যুর দ্বারা; এইভাবে, অনন্তকালীন আত্মার দ্বারা তাঁর দেহের বলিদানের মাধ্যমে (ইব্রীয় ৯:১৪)| তিনি ঈশ্বরের উপস্থিতিতে আমাদের জন্য এক পথ খুললেন (ইব্রীয় ১০:১৯,২০)| তাঁর প্রায়শ্চিত্তমূলক মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের মধ্যে দিয়ে যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বর এবং মানুষের মধ্যে পুনর্মিলনের একটি পথ স্বরূপ হলেন (রোমীয় ৫:১০; ইব্রীয় ১:৩)|
যারা এই পরিত্রানের উত্সর্গকে প্রতাখ্যান করে, তারা প্রভুর মুখ থেকে ও তাঁর শক্তির প্রতাপ থেকে অনন্তকালস্থায়ী বিনাশরূপ শাস্তি ভোগ করবে (২থিষ. ১:৯)| যারা তাদের প্রভু এবং ত্রাণকর্তা হিসাবে গ্রহণ করে তারা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের রাজ্যের মধ্যে দিয়ে অন্ধকারের কর্তৃত্ব থেকে উদ্ধার পেয়েছে (কল. ১:১৩)| তাদের যীশু খ্রীষ্টের সঙ্গে পুত্রত্ব এবং সহ-উত্তরাধিকারীর অধিকার দেওয়া হয়েছে (যোহন ১:১২; রোমীয় ৮:১৭)|

পরিত্রানের ফলাফলগুলি হলো নিম্নরূপ:
পাপের ক্ষমা (ইফি. ১:৭)| ধার্মিকগণনা (রোম. ৪:২৫)| অনন্ত জীবন (যোহন ৩:১৬)| স্বর্গের নাগরিকত্ব (ফিলি. ৩:২০)| অনন্তকালীন উত্তরাধিকার (ইব্রীয় ৯:১৫)| ব্যাধি এবং ভুতেদের ওপর কর্তৃত্ব (লূক ১০:১৯)| পবিত্র আত্মার ফল (গালা. ৫:২২,২৩)| একটি মহিমান্বিত পুনরুত্থান (১করি. ১৫:৫১-৫৪)|

মন্ডলী
মন্ডলী হলো প্রভু যীশু খ্রীষ্টের শিষ্যদের একটি গোষ্ঠী| সে (মহিলা) মেষশাবকের বধূ (প্রকা. ২১:৯; ইফি. ৫:২৫-২৭; প্রকা. ১৯-৭), খ্রীষ্টের দেহ (১করি. ১২:২৭) এবং ঈশ্বরের মন্দির হিসাবে পরিচিত (১পিতর ২:৫,৬; ইফি. ২:২১,২২; ১করি. ৩:১৬,১৭)| মন্ডলীকে “প্রেরিত এবং ভাববাদীগনের ভিত্তিমূলের উপরে গাঁথিয়া তোলা হইয়াছে ; তাহার প্রধান কোণস্থ পাথর স্বয়ং খ্রীষ্ট যীশু” (ইফি. ২:২০)| অথএব, প্রেরিতদের মতবাদ এবং ভাববানীপুর্ণ নির্দেশই হলো মন্ডলীর ভিত্তি (প্রেরিত ২:৪২; ১৫:৩২)| মন্ডলী হলো সহ-বিশ্বাসীদের সহভাগিতা| সুতরাং, খ্রীষ্টানদের ওপর একত্রে সমবেত হওয়া পরিত্যাগ না করার জন্য নির্দেশ আছে (ইব্রীয় ১০:২৫)| মন্ডলী হলো ঈশ্বরের সংসার, তাঁর পরিবার; অথএব, এখানে অবশ্যই ঐক্য, সহযোগিতা, নির্দেশ, উত্পাদনশীলতা আছে (ইফি. ২:১৯; ১করি. ১:১০; যোহন ১৩:৩৫; গালা. ৬:১,২)| মন্ডলী হলো সার্বজনীয় এবং স্থানীয়|
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট মন্ডলীর যত্ন এবং শিক্ষা-দীক্ষার জন্য প্রেরিতদের, ভাববাদীদের, প্রচারকদের, শিক্ষকদের এবং যাজকদের অভিষিক্ত করেন (ইফি. ৪:১১-১২)| পবিত্র আত্মা মন্ডলীর সংশোধনের জন্য বিভিন্ন আত্মিক বরদান দিয়ে থাকেন (১.করি. ১২)| মন্ডলী প্রত্যেক জাতির কাছে যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করতে, তাদের শিষ্য বানাতে এবং তাদের যীশু খ্রীষ্টের শিক্ষায় শিক্ষা দিতে শেখায় (মথি ২৮:১৯-২০)| এই ঘোষণা চিহ্নসমূহ এবং বিস্ময় কার্যের দ্বারা সহযোগী হয়েছে যা প্রভু তাঁর বাক্যের নিশ্চয়তার জন্য করেন (মার্ক ১৬:২০; ইব্রীয় ২:৪)|
মন্ডলীর দুটি আদেশ হলো জল বাপ্তিস্ম (মথি ২৮:১৯) এবং প্রভুর ভোগ (১করি. ১১:২৩-২৯)|
যীশু খ্রীষ্ট তাঁর মন্ডলীর জন্য পৃথিবীতে ফিরে আসবেন| তখন, যারা খ্রীষ্টে মৃত তারা প্রথমে পুনরুত্থিত হবে এবং যারা জীবিত আছে তারা তাঁর সঙ্গে অনন্তকাল থাকার জন্য তাঁর সাথে মেঘের মধ্যে সাক্ষাত করতে যাবে (১থিষ. ৪:১৬,১৭)|

বাইবেল
বাইবেল হলো যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে পরিত্রানের জন্য ঈশ্বরের নির্দেশবলী (২তীম. ৩:১৫)| এটা ঈশ্বরের পবিত্র ব্যক্তিরা লিখেছিলেন যারা পবিত্র আত্মার ভাববানীপুর্ণ অভিষেকের দ্বারা চালিত হতেন (ইব্রীয় ১:১; ২পিতর ১:২০,২১)| এটা, সুতরাং, ঈশ্বর-নিশ্বসিত বাক্য বলে আখ্যাত (২তীম. ৩:১৬)| জাগতিক পদ্ধতিতে বাইবেলের মানে বোঝা যায় না| পবিত্র আত্মার মাধ্যমে আমরা পরিত্রানের নির্দেশাবলী জানতে পারি (১করি. ২:১০-১৬)| সুতরাং, একটি অধার্মিক ব্যক্তি আধ্যাত্মিক বিষয়বস্তুর মানেও বোঝে না তার প্রশংসাও করে না| বাইবেলই হলো মানুষের জন্য স্বর্গীয় নির্দেশাবলীর একমাত্র নিশ্চিত পথপ্রদর্শক (প্রকা. ২২:৬)|
বাইবেল বা শাস্ত্র যীশু খ্রীষ্টের সম্মন্ধে সাক্ষ্য দেয় (যোহন ৫:২৯; গালা. ৩:৮); সুতরাং, এটা কথিত আছে যে “যীশুর যে সাক্ষ্য, তাহাই ভাববাণীর আত্মা” (প্রকা. ১৯:১০)| বিশ্বাসীরা সবসময় শাস্ত্রের কথা চিন্তা করে এবং অধ্যায়ন করে (গীত. ১:২)| বাইবেল শাস্ত্র নিয়ে ঘোর-প্যাঁচের বিরুদ্ধে এবং কোনো কিছু যুক্ত করা বা শাস্ত্র থেকে কিছু বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করে (২পিতর ৩:১৬; প্রকা. ২২:১৮,১৯)|

বিচার
বাইবেল আমাদের শিক্ষা দেয় যে জগতের অন্তিম দিনে সমস্ত নৈতিক সত্তার ঈশ্বরের সামনে বিচার আসবে | অন্তিম দিন আসার আগের চিহ্নগুলি যীশু দিয়েছেন | তারা হলো : অনৈতিকতার বৃদ্ধি, ভাক্ত ভাববাদী, খ্রীষ্ট-বিরোধীর আগমন যে ঈশ্বরের লোকদের নির্যাতন করবে এবং পৃথিবীর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ করবে, যুদ্ধ, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি, ভ্রান্ত বিশ্বাসীর উত্থান, মহাকাশে অনেক কিছু চিহ্ন কার্য (মথি ২৪)| এইসব কিছুর পরে, ঈশ্বর-পুত্র মেঘের মধ্যে দিয়ে এবং তাঁর পরাক্রান্ত স্বর্গদূতেদের সঙ্গে আবির্ভূত হবেন (২থিস. ১:৭)| দিয়াবল এবং তার দূতেরা নরকে শাস্তি ভোগ করবে (মথি ২৫:৪১; প্রকা. ২০:১০)| যাদের নাম জীবন পুস্তকে লেখা নেই তাদের আগুনের হ্রদে নিক্ষেপ করা হবে (প্রকা. ২০:১০) কারণ তারা তাদের কাজ অনুযায়ী বিচারিত হবে (রোমীয় ২:৫,৬; যিহুদা ১৫)| খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা ঈশ্বরের রাজ্যের উত্তরাধিকারী হবে (প্রকা. ২১:৭)|

Comments

Popular posts from this blog

Is Water Baptism Necessary Before Partaking in Lord's Supper

"Last Supper" by Giovanni Domenico Tiepolo (1750) Yes, it is. Water baptism identifies one with the redemption work of Jesus Christ, with His death, burial, and resurrection. It is anticipated of visible identification with Christ and His Church. Every person has the personal responsibility to examine him/herself before deciding to partake in the Lord's Table. The Bible makes it clear that those who chose not to be baptized were rejecting the counsel of God (Lk.7:30). In a mixed congregation, it is not possible to always know who is worthy to partake of the Table; however, the minister must encourage only those who have been baptized for remission of sins (not just as a ritual but by faith in Jesus Christ) to partake of the Table. Before Jesus sat down to dip bread in the cup, He washed His disciples' feet. He makes the statement that they are already "washed" and only need feet to be washed. Of course, this may not explicitly/only refer to their baptism, fo

Matthew 6:31-33

"Therefore do not worry, saying, 'What shall we eat?' or 'What shall we drink?' or 'What shall we wear?' For after all these things the Gentiles seek. For your heavenly Father knows that you need all these things. But seek first the kingdom of God and His righteousness, and all these things shall be added to you." (Mat 6:31-33) The original sense of nakedness was from that deep insecurity of autonomy that sprung from man's first alienation from God due to sin-- spiritual death. Seeking God marks man's refusal to stay alienated by turning towards His Maker in whom alone is Covering and true Security and no reason to be ashamed anymore.

Is it not cruel for God to kill His Son in place of us?

The doctrine of atonement is a stumbling block for some who feel that it not only exemplifies cruelty but also does away with human responsibility. The issue abounds with various questions and attempts to solution. Questions: 1. If God knew that man would sin and fall, why did He create man? 2. Why doesn't God, if He exists, intervene and stop evil; why just be Judge but not be Governor with proper police security system that minimises the possibility of transgression? 3. How can the death of one particular man atone for the sins of many particular men? 4. Isn't it not cruel to punish an innocent man for the sins of others so that they go free? Answers that challenge the Christian doctrine: 1. God does not require sacrifice in order to forgive, He can forgive by sovereign authority. 2. Every man must bear his own guilt so that he has a sense of responsibility and possess a genuine reason to pursue good and turn from evil. Biblical Responses: 1. God's knowledge of human Fall